১৯০৮ সালে আজকের দিনে ফাঁসি হয় ক্ষুদিরামের।কতই বা বয়স তখন, এমন অনেকের প্রাণদান,আত্মত্যাগের মধ্যে দিয়ে আমরা স্বাধীনতা পেলাম ১৯৪৭ সালে। তারপর থেকে তো লুণ্ঠন চলছে দেশের সম্পদ, সংস্কৃতি, কৃষ্টি সবকিছুর। তবে স্বাধীনতা দিবস আমরা খুব ধুমধাম করে পালন করি, সকালে পতাকা উত্তোলন, পাড়ার কাউন্সিলর ভাষণ দেন, টফি বিলি করা হয়, দুপুরে মাংস ভাত, বিকেলে বিগবাজার ব্যাপক সেল দেয়, আর রাতে পিকনিক, বক্স বাজিয়ে, সাথে নাচ। সকালে অবশ্য মাইকে একবার বিদায় দে মা, সারে জাহাসে আচ্ছা বাজাই...
আমরা যখন শাহরুখ খানের সাথে
উর্দি পরে নাচছি উদার হাসি,
ভুলেই গেছি অনেক বছর আগে
চোখের জলে ক্ষুদিরামের ফাঁসি।।
আমরা যখন শাহরুখ খানের সাথে
উর্দি পরে নাচছি উদার হাসি,
ভুলেই গেছি অনেক বছর আগে
চোখের জলে ক্ষুদিরামের ফাঁসি।।
আমরা যখন ঠাণ্ডা ঘরে বসে
মাথার ওপর মন্ত্রী নেতার ছবি;
তুমি তখন দেশোদ্ধারের কাজে
গঞ্জে গাঁয়ে বার খাওয়া বিপ্লবী।
আমরা যখন রাজনীতি চত্বরে
রীতি নীতি দিচ্ছি বিসর্জন
তুমি তখন বছর ষোল হবে
দেশের কথা ভাবছ সারাক্ষণ।।
আমরা এখন স্বাধীন,মুখের বুলি
রেপ করে দে, ঢুকিয়ে দেব লোক,
জ্যান্ত বোমা তখন তোমার হাতে
অল্প বয়স বড্ড আহান্মক।।
আমরা এখন তর্কে সড়গড়
উচ্চ নীচ মূর্খ ভারতবাসী-
মুছিয়ে দেবে মায়ের চোখের জল
ফাঁসির মঞ্চে তোমার মুখে হাসি ।।
ক্ষুদিরাম বোস( ডিসেম্বর ৩,১৮৮৯- ১১ অগাস্ট ১৯০৮)
মাথার ওপর মন্ত্রী নেতার ছবি;
তুমি তখন দেশোদ্ধারের কাজে
গঞ্জে গাঁয়ে বার খাওয়া বিপ্লবী।
আমরা যখন রাজনীতি চত্বরে
রীতি নীতি দিচ্ছি বিসর্জন
তুমি তখন বছর ষোল হবে
দেশের কথা ভাবছ সারাক্ষণ।।
আমরা এখন স্বাধীন,মুখের বুলি
রেপ করে দে, ঢুকিয়ে দেব লোক,
জ্যান্ত বোমা তখন তোমার হাতে
অল্প বয়স বড্ড আহান্মক।।
আমরা এখন তর্কে সড়গড়
উচ্চ নীচ মূর্খ ভারতবাসী-
মুছিয়ে দেবে মায়ের চোখের জল
ফাঁসির মঞ্চে তোমার মুখে হাসি ।।
ক্ষুদিরাম বোস( ডিসেম্বর ৩,১৮৮৯- ১১ অগাস্ট ১৯০৮)