কুমি কাপুরের লেখা ইমার্জেন্সির ইতিহাসের ওপর বইটা পড়ছিলাম। লেখিকা সাংবাদিক হয়েও তৎকালীন জনসংঘের প্রতি নিজের অনুরাগ গোপন করেন নি। তাতে সমস্যা নেই। তবে একটা ইন্টারেস্টিং অ্যানেকডোট শেয়ার করি।
ইমার্জেন্সির সময়ে সুব্রম্ম্যণিয়াম স্বামী পালিয়ে বেড়িয়েছেন অনেকদিন। স্বামী তখন জনসংঘের টিকিটে এমপি। নানাজী দেশমুখ, মানে তখন জনসংঘের প্রধান, স্বামীর স্ত্রী রোক্সনাকে বলেছিলেন বিদেশে গিয়ে জনসংঘ এবং আর এস এস-এর কর্মীদের ওপর যা যা অত্যাচার হচ্ছে সেগুলো নিয়ে প্রচার করতে। বিশেষত বিদেশের আরএসএস কর্মীদের সাথে যোগাযোগ করতে যারা টাকাপয়সা এবং অন্যান্য সাহায্য দিতে পারেন। রোক্সনা বিদেশে গিয়ে দেখেছিলেন লন্ডনে বসবাসকারী আরএসএস-রা বেশ ভয় পেয়েছেন। সাহায্য করতে রাজী নন। কিন্তু আমেরিকায় আরএসএস কর্মী যারা আছেন তারা প্রচুর হেল্প করেছিলেন। রোক্সনা বিশেষত উল্লেখ করেছিলেন পেনসিলভানিয়ার ফ্র্যাংকলিন মার্শাল কলেজের অধ্যাপক দম্পতির কথা যারা আরএসএস কানেকশন কাজে লাগিয়ে রোক্সনাকে সাহায্য করেছিলেন।
দম্পতির নাম মীরা এবং অমিত মিত্র। দ্বিতীয়জন পরবর্তীকালে পশ্চিমবংগের অর্থমন্ত্রী হন।
(Page 135, The Emergency: A Personal History-Coomi Kapoor, Penguin Viking, 2015)