যা হয়েছে, বেশ হয়েছে। খুব ভালো হয়েছে। আগে কেন হলোনা সেই প্রশ্ন টা রাখবো দু পক্ষের কাছে। এক -আমাদের মাননীয় সিপিআই(এম) নেতৃবৃন্দের কাছে। কেননা এই রাজ্যে সরকার এবং পার্টি দুটোই তাঁরা চালান। আর দুই, এই যে আপনি আমার এই অপগন্ড মার্কা খিস্তি-খেউড় পড়ছেন, সেই আপনার কাছে। মাফ করবেন, আমি আর ওই সাদা ধবধবে ধুতি পাঞ্জাবী পরা নেতাদের মত সুশীল হতে পারছি না। সকাল বেলা খবরের কাগজে, জলখাবার খেতে খেতে কতগুলো রক্তাক্ত লাশের ছবি দেখতে পারছিনা আমি। পারছিনা কমরেড কথাটার অপমান সহ্য করতে। মুখে বলছেন শালবনিতে গতকাল খুন হয়েছেন তিন জন কমরেড, আর কাজের বেলা? কি করেছেন আপনি? জবাব দিন। মুখ ঘুরিয়ে লুকোবেন কোথায়? সোজা তাকিয়ে দেখুন, ওই মঙ্গলকোট পথ দেখিয়েছে।
বলি অনেক তো হলো। গাদা গাদা থিয়োরি, উন্নয়নের মডেল, সংস্কৃতি সবই তো দেখলাম। এবারে একটু খান্ত দিন না এইসবে? মারছে মশাই মারছে। মেরে শেষ করছে মানুষকে। রোজ মারছে। আর মজা দেখুন, যারা মারছে, তারাই সন্ত্রাসের জীগির তুলেছে, আর সেই ইস্যুতে বাঙলা বন্ধ্ ডাকছে। আর আপনি কি করছেন? ১৪ জন পার্টি কর্মীকে পুড়িয়ে মারা হলো ধরমপুরে, কিন্তু যেহেতু সরকারি হিসেব বলছে লাশ সনাক্ত হয়েছে চার জনের, অতএব, বাকিরা নিখোঁজ, তাই গনশক্তিও সেই হিসেবই দিলো আপনাকে, আর আপনিও সেই কথাটি কোঁত করে গিলে ফেললেন। বলি ভেতরের মানুষটা কি মরে গেছে আপনার? চোখে কিছু দেখতে পাননা? আপনাকে ধরে চাবকানো উচিত সেটা জানেন? যদি সামান্য মনুষ্যত্ব এখনো থেকে থাকে, তো গড়ে তুলুন আপনার এলাকায় আপনার নিজস্ব মঙ্গলকোট। দেখি কত দম আছে আপনার। করান দৌড় ওই ওদের। ওই ভাবে ধুতি তুলে। পালাক ওই ভাবে। পালাক বাংলা ছেড়ে। দয়া করে আর সুশীল হতে চেয়ে বসে থাকবেন না। একটু গা তুলুন কমরেড।
পার্টির মাথারা মঙ্গলকোটের নিন্দে করেছেন? তাতে কি এলো গেলো? আজ শালবনি – লালগড়, কাল ওরা আসবে আপনার বাড়ি। তখন আপনার শীর্ষ নেতারা আপনাকে বাঁচাবেন তো? তাহলে তাঁদের কথাই শুনুন। শুধু ভেবে দেখুন, আপনার টিকি টা বাঁধা কার কাছে, বুদ্ধ – বিমান? নাকি মানুষের কাছে? আজ যদি মনে হয় নেতারা ভুল করছেন তাহলে চুপ করে মেনে নেবেন? ধরিয়ে দেবেন না? কিসের দায় আপনার? সরকারের প্রতি? একটা বুর্জোয়া রাষ্ট্রকাঠামোর মধ্যে থাকা অঙ্গরাজ্যের সরকার, সে নিজেও তো সেই চরিত্রেরই হলো, তাকে বাঁচাবার এত কিসের দায় আপনার? যাক না চুলোর দুয়োরে। শালা মরতে হলে গান্ধিবাদী হয়ে মরব নাকি? ওসব ছাড়ুন মশাই। মানুষের দাবী না মানলে নেতারা সরুন। মানুষ নিজেই নেতা তৈরি করে নেবেন। নয়ত ওই ছাতার তলা থেকে বেরিয়ে এসে রোদের আঁচ সয়ে নতুন বাড়ি তৈরি করতে হবে। হ্যাঁ হ্যাঁ, ঠিকই পড়েছেন। যা বুঝেছেন, সেটাই বোঝাতে চাইছি।
প্রতিরোধ করুন, প্রতিরোধ গড়ে তুলুন। মঙ্গলকোট একটা গ্রামের নাম। সেখানে ছিলো কতগুলো মানুষ আর কতগুলো শুয়ারের বাচ্চা। আপনি কাকে কি ভাবেন, তার ওপরে নির্ভর করছে আপনি কোন দিকে যাবেন। বাকি জানেন আপনি। আপনি ভাবুন, আমি চললাম বন্ধ ভাঙতে।
“মঙ্গলকোট লাল সেলাম”