মানস ভুঁইয়া মার খেয়েছে। মানস বিশেষ বন্ধু। বারো ভুঁইয়াদের এক ভুঁইয়া- সামন্ত পরিবারের ছেলে। খারাপ লাগছে।
আরো খারাপ লাগছে এই ভেবে, ফাল্গুনির মত একজন তরতাজা মানুষকে খুন করলো, তখন তো মানস গেল না? কেন? যখন ২৮ জন কৃষককে উচ্ছেদ করা হ’ল, মানস গেল না কেন? যখন খেজুরিতে ছ’জন মন্ত্রী কে পিটিয়ে ফেরত পাঠান হ’ল, মানসের কন্ঠস্বর রুদ্ধ করেছিল কে? ফাল্গুনির খুনের আসামিদের নিয়ে এলাকায় গেলেন কোন উদ্দেশ্যে ?
স্পষ্টতঃই প্ররোচনা। খেজুরিতে যদি মন্ত্রীদের অবরোধ করাটা গণ বিক্ষোভ হয়। এটা হবেনা কেন? সি পি আই (এম) সরকারে থাকার মূল্য দিচ্ছে। খুঁটিতে বাঁধা গরুর মত- দড়ির দৌড় যতদুর, ততদূর যেতে পারে। মানুষ সতঃস্ফুর্তভাবে প্রতিরোধে নেমেছে। ১৯৭২ এর পুনরাবর্তন রোধে মঙ্গলকোট বিন্দু ভাঙ্গা। আমি চাই সব বামপন্থী দলের কর্মীরা মঙ্গলকোট- এর আগুন সর্বত্র ছড়িয়ে দিন। ১৯৭২ এর পুনরাবর্তন রোধ করতেই হবে। প্রশ্নটা রাজনৈতিক দলের নয়। প্রশ্নটা হ’ল শ্রেণির। গ্রাম বাংলাতে সামাজিক কর্তৃত্ব হারানো সামন্ত শয়তানগুলো আবার রাজনৈতিক কর্তৃত্বের মাধ্যমে জমিদারি কায়েম করতে নেমেছে।
মেদিনিপুরের অধিকারিরা তাদের বেনামী খাস জমিগুলো উদ্ধারে নেমেছে। বর্গাদারদের সি পি আই (এম) বলে জমি এবং বাস্তু থেকে উচ্ছেদ করছে।
প্রতিক্রিয়ার অভ্যুত্থান ঘটছে। মেদিনিপুর, দঃ ২৪পরগনা প্রমান করলো উচ্ছেদ না করলে নিজেদের উচ্ছেদ হ’তে হয়। হত্যাকারিকে বাঁচিয়ে রাখার অর্থই মৃত্যু।