লজ্জা আসে রক্তহোলির মত্ত নাচে,
লজ্জা কাঁদে দমনপীড়ন অত্যাচারে,
লজ্জা বাজে নির্মমতার কঠিন তারে,
লজ্জা পোড়ে অগ্নিশিখার তপ্ত আঁচে।
লজ্জা বোঝে দুধের শিশুর রাতকাড়া ভয়,
লজ্জা মরে ঘাসফুলদের লাঠির ঘায়ে,
লজ্জা হাসে বুদ্ধিজীবির মিথ্যে কথায়,
লজ্জা দ্যাখে জয়ের নেশায় নরকপ্রলয়।
লজ্জা শোনে মায়ের কান্না পুত্রশোকে,
লজ্জা হাঁটে লালমাটির সব দগ্ধপথে,
লজ্জা ভাসে অভুক্তপেট শ্যাওলা জলে,
লজ্জা ভাবায় পুরোনোদিন ত্রস্ত চোখে।
লজ্জা জ্বলে লালগড়ে আর নন্দীগ্রামে,
লজ্জা ঢাকে কিশোরীমেয়ের বেওয়ারিশ লাশ,
লজ্জা হারায় শবের মিছিল রাজনীতিতে,
লজ্জা খোঁজে দেশের চিঠি বন্দী খামে।
লজ্জা বলে প্রতিবাদ চাই সবার ঘরে,
লজ্জা বলে গর্জে ওঠো রুখতে শেখো,
লজ্জা বলে লালপতাকা নামো পথে,
লজ্জা বাঁচে কাস্তে-হাতুড়ি আঁকড়ে ধরে।