যদিও ত্বকের রঙ দিয়ে মানুষ এবং সৌন্দর্য বিবেচনা একেবারেই অনুচিত কিন্তু আমাদের সমাজে এই কাজটি হরহামেশাই হয়ে থাকে। তাই অনেকেই নিজের ত্বকের রঙ একটু উজ্জ্বল করার আশায় স্কিন হোয়াইটেনিং ক্রিম ও অন্যান্য প্রোডাক্টের পেছনে ছুটে থাকেন। কিন্তু এইসকল কেমিক্যাল সমৃদ্ধ জিনিস আপনার জন্য কতোটা উপকারী? প্রাচীনকালে কিন্তু এইসকল কেমিক্যাল সমৃদ্ধ জিনিস পাওয়া যেতো না। প্রাচীনকালের মানুষেরা প্রাকৃতিক উপাদানের উপরেই ভরসা করতেন। তাই ত্বকের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে এবং একই সাথে ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়িয়ে নিতে ব্যবহার করুন প্রাকৃতিক উপাদান। আজকে জেনে নিন ত্বকের রঙ উজ্জ্বল করার খুবই সহজ এবং দারুণ কার্যকরী ২ টি প্রাকৃতিক উপায়।
১) কমলা লেবুর ব্যবহার
কমলা লেবুও খুব ভালো ব্লিচিং এজেন্ট হিসেবে কাজ করে। এছাড়াও কমলা লেবুর ভিটামিন সি ত্বকের উজ্জ্বলতা ভেতর থেকেই বাড়াতে সহায়তা করে।
– কমলার কোয়া খুলে শুধুমাত্র কমলার পালপ নিন। ২ টেবিল চামচ কমলার পালপের সাথে ১ চিমটি হলুদ মিশিয়ে নিন। কাঁচা হলুদ বাটা হলে সবচাইতে ভালো হয়।
– এরপর এই মিশ্রণটি মুখের ত্বকে লাগিয়ে ঘুমুতে চলে যান। কষ্ট হলেও এই পদ্ধতিটি অনেক বেশি কার্যকরী।
– পরের দিন সকালে ভালো করে মুখ ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে মাত্র ১ দিন ব্যবহার করুন এই পদ্ধতিটি।
২) দইয়ের ব্যবহার
দইয়ে রয়েছে ল্যাকটিক এসিড, যা খুব ভালো ব্লিচিং উপাদান। দই ব্যবহারের ফলে ত্বক ব্লিচ হয় যা ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে কোনো ধরণের কেমিক্যাল ছাড়াই। ত্বকের জন্য টকদইয়ের ব্যবহার অনেক বেশি কার্যকরী।
– প্রথমে ২-৩ টেবিল চামচ টকদই নিয়ে খুব ভালো করে ফেটিয়ে নিন।
– এরপর টকদই মুখের ত্বক, ঘাড়, গলায় ভালো করে লাগিয়ে নিন। চাইলে হাত পায়েও লাগিয়ে নিতে পারেন।
– এবারে শুধুমাত্র ৫ মিনিট রাখুন এই দই ত্বকের উপর। এরপর কুসুম গরম পানি দিয়ে ত্বক ভালো করে ধুয়ে নিন।
– সপ্তাহে ৩ দিন অর্থাৎ ১ দিন পরপর এই পদ্ধতিটি ব্যবহার করতে পারেন। ভালো ফলাফল পাবেন।
– ত্বকের উজ্জ্বলতার পাশাপাশি বয়সের ছাপও প্রতিরোধ করবে দইয়ের ব্যবহার।
এখানে দেখুনঃ