Related Posts Plugin for WordPress, Blogger...

বন্ধ ~ পুরনদর ভাট

বন্ধ নিয়ে ন্যাকাচোদা মধ্যবিত্বের নাকি কান্না চলছে। 
খিস্তি মারলাম বলে খারাপ লাগলো? শাট শাট! কি করবো বলুন, সারা বছর একবারের জন্যেও যারা মজুর, কৃষকদের কথা বলে না তাদের হঠাত করে বন্ধের দিনে শ্রমিক কৃষকদের কি হবে বলে নাকি কান্না দেখে খিস্তি ছাড়া কিছুই আসছে না। শালা একের পর এক কারখানায় তালা ঝুলে যাচ্ছে, চা বাগানে না খেয়ে লোকজন টপাটপ মরে যাচ্ছে, সারা বছর তা নিয়ে রা কাড়া নেই, বন্ধ হলেই "কর্মনাশা" বলে ঢ্যামনামো। এমন হাবভাব যেনো বাকি ৩৬৪ দিন একেবারে কাজ করে ফাটিয়ে দিচ্ছে আর মাইনের টাকা পেলেই তা নিয়ে দৌড়ে যাচ্ছে গরিবের সেবা করতে। 


এমনিতেই শ্রমিকরা আধমরা হয়ে আছে দেশে, তার ওপর দালালের সরকার আইন আনছে যাতে ফুল খাটে উঠে যায়। দেশের উন্নয়নের জন্যে নাকি শ্রম আইন বদলাতে হবে, যাতে ইচ্ছে মতো শ্রমিক ছাঁটাই করা যায়। আমাদের সকলের পূজনীয় পুঁজিপতিগণ নাকি ঠিকঠাক লাভ করতে পারছে না বর্তমান আইনে। তাদের লাভ করার সুবিধে করে দিলেই তারা সব হু হা সিল্পো করবে আর শ্রমিকদের জামাই আদর করবে। অথচ পরিসংখ্যান বলছে যে গত ৩০ বছরে জাতীয় আয়তে শ্রমিকের মজুরির ভাগ ৩০% থেকে কমে ১৩% হয়েছে আর পুঁজিপতিদের লাভের ভাগ ২০% থেকে বেড়ে ৫০%-এর ওপর চলে গেছে। কিন্তু শালাদের আরো চাই! শুধু মজুরি মারলে হবেনা, শালারা চায় শ্রমিকরা মা মেয়েও বেচে দিক তাদের কাছে, আর তাও বেচা হয়ে গেলে শ্রমিকদের মাংশগুলো খুবলে খুবলে খাবে। আর শুধু কি তাই? একদিকে মজুরি বাড়ার নাম নেই, চাকরি নেই তার ওপর খাবারের দাম তো ধরা ছোঁয়ার বাইরে। গত এক বছর ধরে তেলের দাম পড়ছে, সরকার বলছে মূল্যবৃদ্ধি কমে গেছে কিন্তু বাজারে খাবারের দাম? সরকারের নীতি হলো- খেতে চাইলে আম্বানি টাটার হাগা খা। তাই খেতো লোকে, যদি হাগা খেয়ে হজম করা যেতো। তার ওপর আবার চাষীদের জমিজমা ইচ্ছে মতো বাজেয়াপ্ত করার আইন আনছিলো, কেস ক্যাঁচাল বুঝে ফিরিয়ে নিয়েছে। আনলে পারতো, মানুষ দেখিয়ে দিতো ধর্মের জোর বেশি না খিদের। 
তো যা বলছিলাম, মধ্যবিত্বর বিশেষ করে ওই প্রাইভেট কোম্পানির মোটা মাইনার ঝিংকু আর চিংকুরা এসব নিয়ে কিছু কোনদিন বলেনা, যেই বন্ধ হবে অমনি গরিবের জন্যে রুদালী চালু। কিন্তু বিষয় হচ্ছে যে ধর্মঘট ফট হলে, মজুররা লড়াই করলে এদের এতো ফাটে কেনো? এরা তো কেউ কারখানার মালিক ফালিক না যে ক্ষতি হবে। তাহলে? আসলে বেপারটা হলো ওই বন্ধের বিরোধিতা করে নিজেকে একটু মালিক গোছের দেখানো। মধ্যবিত্বর তো আর বড়লোক হওয়া হবে না, ওই বড়লোকদের পক্ষে কথা বলে নিজেকেও একটু বড়লোক দেখানো, যারে ইংরেজিতে কয় "রিফ্লেকটেড গ্লোরি।" ইংরেজ আমলে কিছু বাঙালি বাবু বিবি ওরম ছিলো, কুত্সিত ভাবে ইংরেজি বলতো, নাক টিপে বিলিতি মদ খেতো আর অন্যান্য গোবেচারা টাইপ বাঙালিদের "ব্লাডি নেটিভ" বলে গাল দিতো। 
বড়লোকে মারে গরিবের গাঁড়,
"আচ্ছে দিন" আছে পাহাড়াদার,
মধ্যবিত্বের কারো নাই দরকার
তবুও হবেই তারা চিয়ারলিডার।

ফেসবুকে কমেন্ট দিন

Blogger Tips and TricksLatest Tips And TricksBlogger Tricks