জন্ম নিয়ন্ত্রনের বহুল ব্যবহৃত গুলোর মধ্যে একটিহল ভুল সহবাস বাযৌন মিলন কালে কনডমব্যবহার করা। এটাঅনেক সেফ বা নিরাপদপদ্ধতিও বলা হয়ে থাকে। কিন্তুএর ব্যবহারে মাঝে মাঝে কিছুবিপত্তিও দেখা যায়।যেমন কনডম খুলে যাওয়াবা ফেটে যাওয়া ইত্যাদি। যদিওএর সংখ্যা ততটা অধিকনয়। তবেশতকরা দুই থেকে ছয়ভাগ কনডম শাররীক মিলনেরসময় ফেঁটে কিংবা খুলেপড়তে পারে। লেটিক্সকনডমের ছেয়ে পলিইউরিথেনই কনডমবেশি মাত্রায় ফাঁটার সম্ভাবনা থাকে।
কি কি কারনে কনডমফেঁটে বা খুলে যেতেপারে:-
১। কনডমটিমাত্রাতিরিক্ত তাপমাত্রায় রাখা ছিল।
২। ভুল ভাবে কনডমটি লিঙ্গেলাগানো।
৩। কনডমেরডেট এক্সপায়ায়ারড হয়ে যাবার ফলেএর কার্যকারীতা কমে যাওয়া।
৪। কনডম এর প্যাকেট ছিদ্রযুক্তছিল।
যদি কনডম ফেঁটে / খুলেযায় তাহলে কি করবেন:-
১। যৌন মিলনে বীর্যস্থলনের পুর্বেযদি কনডম ফেঁটে যায়তাহলে সাথে সাথে মিলনবন্ধ করুন – লিঙ্গ বেরকরে আনুন – এবং নতুনকনডম প্রতিস্থাপন করুন।
২। যদি বীর্য পড়ে যায়এবং তা যোনীমুখে দৃশ্যমানথাকে তাহলে সাবান এবংগরম পানির সাহয্যে জলদিধুয়ে ফেলুন। তবেযৌনাঙ্গের গভীরে বীর্য পড়লেসেক্ষেত্রে এ পদ্ধতিতে তেমনএকটা লাভ হয়না।কারন ধুয়ে শুক্রানু দুরকরা যায় না।
৩। এইডস সহ যেকোন প্রকারসেক্সুয়াল ট্রান্সমিটেড ডিজিজের (এস টি ডি) উপস্থিতি পরীক্ষা করান। বেশিরভাগক্ষেত্রে এস টি ডিএর প্রাথমিক লক্ষন হিসাবে ফুসকুড়ি, ফোলা গ্রন্থি, জ্বর, ফ্লু, ব্যাথাএবং লিঙ্গ কিংবা যোনীথেকে আঠালো তরল নির্গতহওয়া দেখা যেতে পারে।
৪। যদি যার সাথে মিলনকালেকনডম ফেঁটেছে তিনি এইইচ আইভি পজেটিভ থাকেন তাহলে৬ সপ্তাহ, ৩ মাস এবং৬ মাস পর পুনরায়পরীক্ষা করে দেখুন আপনারমাঝে সংক্রমন হয়েছে কিনা?
৫। কনডম ফেঁটে যাওয়ার পরআর ধাক্কা দিবেন না। ফাঁটাকনডম সহ ধাক্কা দিলেসংক্রামক জীবাণু জরায়ুর গভীরতায়চলে যেতে পারে।একই কারনে যোনীর ঝিল্লি/পর্দায় জ্বালাপোড়া করতেপারে যা রোগ সংক্রমণঝুঁকি বৃদ্ধি করে।