চুল পড়া, চুলের আগাফাটা, মাথায় খুশকি হওয়া, অসময়ে টাক পড়ে যাওয়া- এসবই চুলের সমস্যাগুলোর মধ্যেঅন্যতম। বিভিন্নব্র্যান্ডের প্রোডাক্ট ব্যবহারে, যা আপনার চুলেরসাথে মোটেই মানানসই নয়, তা আপনার চুলের মারাত্মকক্ষতি করতে পারে।রুটিন পরিচর্যার মাধ্যমে এসব সমস্যা থেকেনিষ্কৃতি পাওয়া সম্ভব।বেশিরভাগ সৌন্দর্য সচেতন মানুষের চুলপরিচর্যায় প্রথম পছন্দ প্রাকৃতিকউপাদান। আপনিযদি তাদের একজন হয়েথাকেন তাহলে জবা হতেপারে আপনার সমস্যার সমাধান, কেননা এর কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ানেই।
যা যা লাগবে_
১। জবাফুল
২। জবাগাছের পাতা
৩। অন্যান্যউপাদান (প্রয়োজন অনুযায়ী)
প্রণালীঃ
১। ৫চামচ আমলকি পাউডার নিন। তাতে৫ চামচ জবা পাতাবেটে মিশিয়ে নিন।এই মাস্কটি আপনার চুলে দিয়েরাখুন প্রায় ৩০ থেকে৪০ মিনিট। তারপরধুয়ে ফেলুন। এইমাস্কটিতে চাইলে আপনি আমলকিররস ব্যবহার করতে পারেন।এভাবে মাসে দুই থেকেতিন বার ব্যবহারে আপনিপাবেন মজবুত আর স্বাস্থ্যোজ্জ্বলচুল।
২। ৫/৬ টি জবাপাতা নিয়ে ২০-৩০মিনিট পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। তারপরপাতাগুলো পিষে পানিতে নিয়েকিছুক্ষণ হাত দিয়ে ভালোভাবেমিশিয়ে নিন। যাখুব পিচ্ছিল একটি দ্রবণ তৈরিকরবে। দ্রবণটিমাথার স্কাল্পসহ পুরো চুলে দিয়ে৩০ মিনিট রাখুন।শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন, কন্ডিশনার দিন। এইমাস্কটি নিয়মিত ব্যবহারে চুলপড়া কমে, মাথার ঠান্ডাথাকে, চুল কালো হয়, সিল্কি আর শাইনি হয়।
৩। তিনটিজবা ফুল একটু পানিতেরাত অবধি ভিজিয়ে রাখুন। পরেরদিনফুলগুলো পিষে তাতে তিনটেবিল চামচ দুধ আরদেড় টেবিল চামচ অলিভঅয়েল মিশিয়ে নিন।চুলে দিয়ে ত্রিশ মিনিটপরে শ্যাম্পু করে নিন।উত্তম ফলাফলের জন্য এই মাস্কটিমাসে দুই বার ব্যবহারকরতে পারেন।
৪। ৫/৬ টি পাতাবেটে নিয়ে তাতে দুইটেবিল চামচ মধু এবংচার টেবিল চামচ দইদিয়ে একটি মিশ্রণ তৈরিকরুন। চাইলেএর সাথে চুলের দৈর্ঘ্যঅনুযায়ী নারকেলের দুধও মেশাতে পারেন। মিশ্রণটিচুলে ৪০ মিনিটের মতোরেখে ধুয়ে ফেলুন।এই মাস্কটি ব্যবহারে চুল মোলায়েম হয়, চুল পড়া কমে।
৫। খুশকিরসমস্যায় এক মুঠো জবাপাতা আর সমপরিমাণ মেহেদিপাতা পেস্ট করে নিয়েতাতে ১ টেবিল চামচলেবুর রস মিশিয়ে চুলেদিতে পারেন। ৩০মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন।
প্রত্যেকটিমাস্কের ক্ষেত্রে জবা ফুল অথবাপাতা এবং তার আনুষঙ্গিকউপাদানগুলো পানি দিয়ে ভালোভাবেপরিষ্কার করে নিবেন।আপনার চুলের সমস্যা ভেদেবেছে নিতে পারেন উপরেরযে কোনো মাস্ক।মনে রাখবেন চুলের সমস্যাদুই অথবা তিন দিনেকেটে উঠে না, চুলেরপ্রয়োজন নিয়মিত যত্ন এবংতা হতে হবে অবশ্যইসঠিক উপায়ে। আরঅবশ্যই প্রচুর পানি পানকরবেন।
সুত্রঃ সাজঘর