মুসলমানদেরউপর আল্লাহ তায়ালা বিয়েফরয করে দিয়েছেন।কিন্তু বিয়ে ফরয হলেও৪টি শর্ত পূরণ নাকরলে সেই বিয়েকে আল্লাহতা’য়ালা কখনোই বিশুদ্ধবিয়ে বলে মেনে নেবেনা। তাইসেই ৪টি শর্ত সম্পর্কেএখনই চলুন জেনে নিই।
১) ইশারা করে দেখিয়েদেয়া কিংবা নাম উল্লেখকরে সনাক্ত করা অথবাগুণাবলী উল্লেখ অথবা অন্যকোন মাধ্যমে বর-কনে উভয়কেসুনির্দিষ্ট করে নেয়া।
২) বর-কনে প্রত্যেকেএকে অপরের প্রতি সন্তুষ্টহওয়া। এরদলীল হচ্ছে নবী (সাঃ) বাণী। নবীজী(সাঃ) বলেছেন, ‘স্বামীহারা নারী (বিধবা অথবাতালাকপ্রাপ্ত) কে তার সিদ্ধান্তজানা ছাড়া (অর্থাৎ সিদ্ধান্ততার কাছ থেকে চাওয়াহবে এবং তাকে পরিষ্কারভাবেবলতে হবে) বিয়ে দেয়াযাবে না এবং কুমারীমেয়েকে তার সম্মতি ছাড়া(কথার মাধ্যমে অথবা চুপ থাকারমাধ্যমে) বিয়ে দেয়া যাবেনা। লোকেরাজিজ্ঞেস করল, ইয়া রাসূলুল্লাহ(সাঃ)! কেমন করে তারসম্মতি জানবো (যেহেতু সেলজ্জা করবে)। তিনিবললেন, চুপ করে থাকাটাইতার সম্মতি।” [সহীহবুখারী, (৪৭৪১)]
৩) বিয়ের আকদ (চুক্তি) করানোর দায়িত্ব মেয়ের অভিভাবককে পালনকরতে হবে। যেহেতুআল্লাহ তা’য়ালা বিয়েদেয়ার জন্য অভিভাবকদের প্রতিনির্দেশনা জারী করেছেন।আল্লাহ তাআলা বলেন, “আরতোমরা তোমাদের মধ্যে অবিবাহিত নারী-পুরুষদের বিবাহ দাও।” [সূরা নূর, ২৪:৩২]
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামবলেছেন: “যে নারী তারঅভিভাবকের অনুমতি ছাড়া বিয়েকরবে তার বিবাহ বাতিল, তার বিবাহ বাতিল, তারবিবাহ বাতিল।” [হাদিসটিতিরমিযি (১০২১) ও অন্যান্যগ্রন্থকার কর্তৃক সংকলিত এবংহাদিসটি সহীহ]
৪) বিয়ের আকদের সময়সাক্ষী রাখতে হবে।দলীল হচ্ছে- নবী সাল্লাল্লাহুআলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন,“অভিভাবক ও দুইজন সাক্ষীছাড়া কোন বিবাহ নেই।” [তাবারানীকর্তৃক সংকলিত, সহীহ জামে (৭৫৫৮)]।
বিয়েরপ্রচারণা নিশ্চিত করতে হবে।এ সম্পর্কে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহিওয়া সাল্লাম বলেছেন,“তোমরা বিয়ের বিষয়টিঘোষণা কর।” [মুসনাদেআহমাদ এবং সহীহ জামেগ্রন্থে হাদিসটিকে ‘হাসান’ বলা হয়েছে(১০৭২)]
সুত্রঃ সাজঘর
সুত্রঃ সাজঘর