অনেক দুরের সেই সোনালী রোদ,
মাঠ ছোয়া সেই রক্তিম কিন্সুক
সে খানটাতে ছোট্ট উঠোন জুড়ে
স্বপ্নে দোলে এই বাংলার মুখ .
বাংলার মুখ দেখিয়ে ছিলে তুমি
জীবন জুড়ে জীবনানন্দ
সেই বাংলার সোনার ধানের ঘ্রাণে
মিশছে যখন রক্তের গন্ধ -
পোরো চালের পাঠশালা ঘরটাতে
মৃত্যু যখন উদ্ধত হাত বাড়ায়
বেয়নেটের গুলির সামনে এসে
বুক চিতিয়ে 'আট বছুরে ' দাড়ায়
জাপটে ধরে গুরুমাসিকে সে
ছোট্ট দুটো নরম হাতের জোরে
প্রতিরোধে বাংলার মুখ দেখি
কালের চাকা নিজের ছন্দে ঘোরে .
সেদিন যখন পৌষালি সন্ধ্যায়
পুড়তে পুড়তে রাত্রি নেমে আসে
ভাঙ্গা ফ্রেমে ,ভাঙ্গা আপিস ঘরে
বাংলার মুখে লেনিনের মুখ হাসে .
হেসে ওঠে ছেলে দুর্জয় প্রত্যয়ে -
হাত ধরে মাকে টেনে নিয়ে আসে পথে ,
লালে লাল,লালে বিপ্লব বাঙ্ময়
দেখা হয়ে যায় সারা বিশ্বের সাথে .
জেগে ওঠে ছেলে সোনালী ধানের রোদে
কাস্তেটা চেপে শক্ত মুঠোতে ধরে
জীবনানন্দ ফিরে এলে তুমি আবার
জীবন আনন্দ বাংলার ঘরে ঘরে .