একজন লেখক,কবি, বিদ্বান এবং ভাষাবিদ ।ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষক ।৭০ টির বেশি বই লিখেছেন , বাংলাদেশ সরকার তাকে মরণোত্তর " একুশে পদক" দিয়েছিলেন ।
কবি হিসেবে লিখা শুরু করেন তিনি ।তারপরে সংবাদপত্রে "কলাম লেখক"।আশির দশকে (১৯৮০ সাল)তার ক্ষুরধার লিখনিতে সামাজিক এবং রাজনৈতিক অবিচার,অনিয়ম এবং দুর্নীতি নিয়ে অত্যন্ত নির্মম ভাষায় লিখেছিলেন তিনি।।
তার সব থেকে খ্যাতনামা বই "নারী"...যা বাংলাদেশ সরকার নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছিল ।
"পাক সার জামিন শাদ বাদ" ...লিখে তিনি উগ্রপন্থিদের কোপানলে পড়লেন । "মুরতাদ" ঘোষণা করা হল তাকে ....তার বিরুদ্ধে অনেক মিছিল মিটিং হল ।
।প্রায় এক দশক আগে ২৭ ফেব্রুয়ারি,২০০৪ সালে বইমেলা থেকে বাসায় ফিরবার পথে সন্ধ্যার সময়ে জনসমুদ্রের ভিড়ের মাঝেই তাকে ধারাল অস্ত্র দ্বারা কোপান হয় ।সেই ভয়াবহ ক্ষত নিয়ে কিছুদিন বেঁচে থাকলেও জার্মানিতে এর কিছুদিন পর মারা যান ।(সেই দুঃস্বপ্নের ভীতি ,হত্যাযজ্ঞের বিভীষিকা কাটতে না কাটতেই সেই বইমেলা চত্বরেই প্রকারান্তরে ,একই সময়ে একই দিনে একই কায়দায় হত্যা করা হল ব্লগার অভিজিৎকে) ।
হুমায়ুন আজাদ মারা গেলেন ।ধর্ম , বিশেষ করে ইসলাম ধর্ম ...তিনি জীবিত অবস্থায় বিশ্বাস করেন নি।প্রায় তিনি এদেশের সংখ্যাগরিষ্ঠের ধর্ম নিয়ে ভিন্ন মত পোষণ করতেন ।
নিজ গ্রাম বিক্রমপুরের "রাড়িখালে' নিয়ে যাওয়া হল।।বিখ্যাত গ্রাম, যেখানে আচার্য জগদীশ চন্দ্র বসু জন্মগ্রহন করেছিলেন। গ্রামবাসী তাকে "মুরতাদ'' মনে করায় গ্রামের কবরস্থানেও স্থান হল না তার ।যদিও ঐ গ্রামের কবরস্তানটি তারি কোলকাতার চাচির উপহার । ঐ গ্রামে কোন কবরস্থান আগে ছিল না।
অবশেষে নিজ ভিটায় তাকে দাফন করা হল।কবর টি বাঁধানো ...একটি বইয়ের মতো ।
ধর্মীয় উগ্রবাদ বাংলাদেশে ছিলনা ।কিন্তু আস্তে আস্তে এর বিস্তার লাভ করছে ...সুস্থ সামাজিক বা রাজনৈতিক ব্যবস্থা এবং বিচার না থাকায় ।আইনের শাসন ও নেই ।ধর্মীয় কার্ড খেলছে রাজনৈতিক দলগুলি ...অন্যদিকে আমরা আস্তে আস্তে মানুষ থেকে অমানুষ এ পরিনত হচ্ছি ।
তার সব থেকে খ্যাতনামা বই "নারী"...যা বাংলাদেশ সরকার নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছিল ।
"পাক সার জামিন শাদ বাদ" ...লিখে তিনি উগ্রপন্থিদের কোপানলে পড়লেন । "মুরতাদ" ঘোষণা করা হল তাকে ....তার বিরুদ্ধে অনেক মিছিল মিটিং হল ।
।প্রায় এক দশক আগে ২৭ ফেব্রুয়ারি,২০০৪ সালে বইমেলা থেকে বাসায় ফিরবার পথে সন্ধ্যার সময়ে জনসমুদ্রের ভিড়ের মাঝেই তাকে ধারাল অস্ত্র দ্বারা কোপান হয় ।সেই ভয়াবহ ক্ষত নিয়ে কিছুদিন বেঁচে থাকলেও জার্মানিতে এর কিছুদিন পর মারা যান ।(সেই দুঃস্বপ্নের ভীতি ,হত্যাযজ্ঞের বিভীষিকা কাটতে না কাটতেই সেই বইমেলা চত্বরেই প্রকারান্তরে ,একই সময়ে একই দিনে একই কায়দায় হত্যা করা হল ব্লগার অভিজিৎকে) ।
হুমায়ুন আজাদ মারা গেলেন ।ধর্ম , বিশেষ করে ইসলাম ধর্ম ...তিনি জীবিত অবস্থায় বিশ্বাস করেন নি।প্রায় তিনি এদেশের সংখ্যাগরিষ্ঠের ধর্ম নিয়ে ভিন্ন মত পোষণ করতেন ।
নিজ গ্রাম বিক্রমপুরের "রাড়িখালে' নিয়ে যাওয়া হল।।বিখ্যাত গ্রাম, যেখানে আচার্য জগদীশ চন্দ্র বসু জন্মগ্রহন করেছিলেন। গ্রামবাসী তাকে "মুরতাদ'' মনে করায় গ্রামের কবরস্থানেও স্থান হল না তার ।যদিও ঐ গ্রামের কবরস্তানটি তারি কোলকাতার চাচির উপহার । ঐ গ্রামে কোন কবরস্থান আগে ছিল না।
অবশেষে নিজ ভিটায় তাকে দাফন করা হল।কবর টি বাঁধানো ...একটি বইয়ের মতো ।
ধর্মীয় উগ্রবাদ বাংলাদেশে ছিলনা ।কিন্তু আস্তে আস্তে এর বিস্তার লাভ করছে ...সুস্থ সামাজিক বা রাজনৈতিক ব্যবস্থা এবং বিচার না থাকায় ।আইনের শাসন ও নেই ।ধর্মীয় কার্ড খেলছে রাজনৈতিক দলগুলি ...অন্যদিকে আমরা আস্তে আস্তে মানুষ থেকে অমানুষ এ পরিনত হচ্ছি ।